ভাবের পঙক্তিমালা
ভাব বিনিময়
তর্ক করতে পারে অনেকে, কিন্তু ভাব বিনিময়
করতে পারে কম লোক,
অহংকারীরা কেবল নিজের সাথে কথা বলে
ভাব বিনিময় যেন কল্পলোক।
যে কারণে প্রেমময় কথা বলার যুক্তিসঙ্গত
লোকের অভাব হয়,
সে মতে কম মানুষই নিজে যা ভাবে তা
না করে অন্যের কথা কয়।
গরীব মানুষের সাথে ধনীদের আমোদ
প্রমোদের কথা সাংঘর্ষিক,
স্বাভাবিকভাবেই তারা যন্ত্রণা বিদ্ধ হয়
তাই ইহা অপ্রাসঙ্গিক।
অল্পতেই তুষ্ট
নিজের জীবনকে উপভোগ কর অন্যের জীবনের
সাথে না করে তুলনা,
আকাঙ্ক্ষাকে নিজ সম্পদ দ্বারা পরিমাপ
করাটাই হবে শ্রেষ্ঠ কামনা।
সব কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে শেখা
হবে অধিক আনন্দের,
সেই শ্রেষ্ঠ ধনী অল্পতে যে তুষ্ট
ঐশ্বর্য হলো প্রকৃতির।
আল্লাহ ভীরু মানুষের ঘরে বিরাজ করে
অসীম পরিতৃপ্তি,
নিজের মধ্যেই শান্তি খুঁজে নেয়
যা অধিকতর দীপ্তি।
তাই আমাদের উচিৎ সকল অবস্থাতেই
থাকা অধিক সন্তুষ্ট,
আমার সততা তখনই হবে সমৃদ্ধ
হবে না দারিদ্র দ্বারা নষ্ট।
তারুণ্যের সতেজতা
তারুণ্যের সতেজতা হলো
বসন্তের বিকশিত দিনগুলির মত,
শতধারায় প্রস্ফুটিত হয়ে উপভোগ কর
পৃথিবীতে আছে যত।
ভ্রাতৃপ্রেম বিনয়, সংযম, নম্রতা
ও ধের্যই হবে প্রধান গুণাবলী,
তরুণ বয়সেই তা অর্জন কর
হীন স্বার্থ দিয়ে বলী।
তরুণ বয়সে যে নিজেকে ছাড়া
অন্য কারও কথা ভাবে না,
বেশী বয়সে সে হয় কৃপণ
নিকৃষ্ট, স্বার্থপর, হায়েনা।
তরুণদের উত্তমরূপে গড়ে উঠার
নীতি হলো বেশি শ্রবণ করা,
সৃষ্টিকর্তার প্রকাশিত পথে
যা আছে ধরা।
সুনাম
তুমি যা হতে চাও তার জন্য কর
আপ্রাণ চেষ্টা,
তাহলেই হতে পারবে
ভবিষ্যৎ স্বপ্নদ্রষ্টা।
মুহূর্তের জন্যও উদ্দেশ্যকে
অতিক্রম কর না,
যা কার্যকরী করার আছে
তোমার বাসনা।
যুক্তি সঙ্গতভাবে কর
সকল কর্ম সম্পাদন,
তাতেই বাড়বে সম্মান
বাড়বে উৎপাদন।
সুনাম নিয়ে যদি পৃথিবীতে
স্থায়ী হতে চাও,
সকল কর্মে সত্য ও আন্তরিকতার
শপথ নাও।
স্বর্গের আত্মীয়
আমাদের জীবনকে আমরা বিশুদ্ধ করে তুলি,
শুভ্র বিছানার মত সাদা,
যেখানে আমাদের পদচিহ্ন পড়বে,
কিন্তু লাগবে না কোনো কাদা।
আমরা নিজেরাই আমাদের দুর্দশার
কারণ হয়ে দাঁড়াই,
আমাদের ভালো কাজ করতে
শুধু প্রয়োজন হবে ইচ্ছেটাই।
সম্পদের শ্রেষ্ঠত্বই কেবল কাউকে
আত্মনির্ভরশীল করে তোলে না,
এজন্য সম্পদের আকাঙ্ক্ষার স্বল্পতাও প্রয়োজন
যা আমরা ভাবি না।
মানুষের আত্মা অমর কিন্তু নীতিবান
মানুষের আত্মা অমর ও স্বর্গীয়,
অমরত্ন কানে কানে বলে দেয়, তুমি নীতিবান হও,
তবেই হবে স্বর্গের আত্মীয়।