পাঁচে ৫ ছড়ার ঝাঁজ
নষ্ট চায়ে কষ্ট চেয়েছি
মোহাম্মদ আবদুর রশিদ
সস্তায় কেনা নষ্ট পাতির চায়ে
মুখ হয়েছে তিতা,
নষ্ট চায়ে ঠোঁট দিয়ে ভাই
কষ্ট চেয়েছি বৃথা।
নষ্ট খাবারে পেট নস্ট মন নষ্ট
নষ্ট পুড়ো মেজাজটাই,
তাতে কিছু যায় আসে না কারো
কষ্ট মনে চেপেই যাই।
ভেজাল চায়ে মরছে মানুষ
তবু শুধু ভেজাল চাই,
ভেজাল দিয়ে কামাই অনেক
বোকারা সব খাটি চায়।
চুমুক যদি আজন্ম পাপ
তাতে চায়ের দোষ কী?
চুমুক দিয়ে চলছি চায়ে
রেহাই পাবার উপায় কি?
গুগলি
স্বপন ধর
বাড়ি কোথায়?- হুগলী;
শুন তোকে দেই- গুগলি
বলনা দেখি হুগলী ক্যান?
হুগলী কি সেই গৌরীসেন?
তার ছিলো কি বেজায় টাকা
তাই দিয়ে যায় ‘হুগলী ঢাকা’?
মহসীন কি হুগলী রাজা?
চোরকে দিতেন আজব সাজা।
তালার চাবি দিতেন তুলে
বলতো যা পাও নাওনা খুলে-
বলছি আরও কী নাম দাঁড়া
তাঁর ছিল কি ‘ইমামবাড়া’?
হুগলী নদী, হুগলী প্রদেশ
বলতো এমন আছে কদেশ?
বুঝলি কী হে মাথা মুন্ডুর
গুগলি কি তোর ‘সীতাকুন্ডু’র?
ভুলো
রফিকুল ইসলাম
ভুলো মিয়া ভুলো
কান দুটো কুলো।
যাহা শোনে ভুলে যায়
অসময়ে স্কুলে যায়,
হামেশাই চোখ দুটো
ঘুমে ঢুলো ঢুলো।
ভুলো মিয়া ভুলো
সাথী তার হুলো,
তিন বেলা চাই তার
হাইব্রিড মূলো।
ভুলো মিয়া ভুলো
মাঝরাতে বসে গুণে ধূলো।
কেউ কিছু বললেই
কানে দেয় তুলো।
ভুলো মিয়া ভুলো
নেই চাল-চুলো,
ক্ষুধা পেলে চুষে খায়
চকলেট পুলো।
এইভাবে ভুলো
আনমনে পার করে
তার দিনগুলো।
স্বীকারোক্তি
মুজাহীদুল ইসলাম নাজিম
ওই সমাজের সভাপতি
নাম হলো তার তোমেজ ভাই,
লেখাপড়ায় ছিল ভালো
নাম লিখিতে জীবন যায়।
নামাজ রোজায় মোটামুটি
ফাতেহাতে ঝামেলা,
আযান মাত্র শিখতেছে সে
ওস্তাদ তাহার হামেলা।
জ্ঞান বুদ্ধিতে পাকা তিনি
সমাজটাকে বিকিয়ে দেয়,
টাকা নিয়ে নির্বাচনে
হেসে খেলে ভোট বিলায়।
প্রশ্ন মুখে কেঁপে বলে
অত কিছু বুঝি নাই,
নামে মাত্র আমি আছি
কামে কিন্তু মজু ভাই।
ফড়িংরাজা
রিয়েল আবদুল্লাহ
ফড়িংরাজা পাখনা মেলে
ফুলে ফুলে ঘুরে,
এ ফুল থেকে ও ফুলে সে
যায় যে উড়ে উড়ে।
ফুলের মধু খায় সে খুব,
ফুলের মাঝে দেয় সে ডুব।
ফুলের রেনু গায়ে মেখে
আনন্দে সে নাচে,
মধু খেয়ে নেয় জিরিয়ে
বসে কদম গাছে।